প্রায়শই কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালে গর্ভবতী প্রসূতি নারীদের সিজারিয়ান অপারেশনে মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ওই হাসপাতালে আবারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে ভিড় করে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঘটনার পর শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গোয়দা পুলিশের কর্মকর্তারা।
প্রসূতির স্বামী মনিরামপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের আবু হাসান বলেন, শুক্রবার সকাল তার স্ত্রী জলি খাতুনের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে কেশবপুর শহরের মডার্ণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুপুরের দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। অপারেশনের পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তাদের সন্তান মারা গেছে।
এ বিষয় মডার্ণ হাসপাতালর কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই রোগীর পেইন উঠায় রোগীর স্বজনদের অনুমতি নিয়েই অপারেশন করা হয়েছে।
তবে মডার্ণ হাসপাতালের পরিচালক রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ক্লিনিক কোন রাগী মারা যায়নি’।
উপজলা স্বাাাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর বলন, এ বিষয়ে কেউ এখনো আমাকে জানায় নি, আপনার থেকে প্রথম শুনলাম। শনিবার অফিস গিয়ে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ভুক্তভাগীরা অভিযোগ করল দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্যানুসন্ধান জানা গেছে, ইতিপূর্ব মডার্ণ হাসপাতাল সিজার করতে গিয়ে ভুল অপারেশনের কারণে একাধিক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। অনেকে অভিযাগ করলেও তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করে ক্লিনিক মালিক পার পেয়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। একাধিকবার ক্লিনিক সিলগালা করে দিলেও প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ফের চালু করে। তারা এ বিষয়েউর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে